আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের ও আরেকটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত খবরের ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এ নিয়ে ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক পৃথক বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কোহিনুর বেগম বিদ্যুৎ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন বেগম ফাতেমা ও জেলা যুব মহিলা লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি এ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সম্প্রতি দুটি গণমাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের বিষোদগার করতে গিয়ে তার সাথে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ ও নগ্ন ভাষায় তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, যা সবৈব মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা উল্লেখিত তথ্যের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া সম্প্রতি যুব মহিলা লীগের এক শীর্ষ নেত্রীকে বিশেষ ডাকে সাড়া না পেয়ে পদচ্যূত করার এবং নারীদের রাজনীতি করা দায় হয়ে উঠার অভিযোগও কাল্পনিক।
তাছাড়া খবরে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে পদ-পদবি দেওয়া, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি গুদামে বিভিন্নরকম ব্যবসা, সাবরেজিস্টার অফিসে চাঁদাবাজী এবং ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার সাথেও এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল মোটেই জড়িত নন। বরং পরিবেশিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক।
প্রকৃতপক্ষে ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের মতো একজন দক্ষ, পরীক্ষিত ও সাহসী নেতৃত্বের প্রতিই যখন তৃণমূলের আস্থা বিরাজ করছে, ঠিক তখন দলের একটি ঘাপটি মেরে থাকা চিহ্নিত অংশ যারা দুদফায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজেরাই বিতর্কিত অবস্থানে রয়েছেন, তারাই তার সম্পর্কে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মানহানিকর ও যোগসাজসী তথাকথিত অভিযোগ তুলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছেন।