• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
শেরপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় নকলায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হামলার সাথে বিএনপি জড়িত নয়, বিএনপির নাম জড়িয়ে নাটক সাজানো হচ্ছে দেশীয় মদ তৈরীর কারখানা ধ্বংস করলো নৌবাহিনী বগুড়ায় মুদি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা: নেপথ্যে পরকীয়া প্রেমের জের দেওয়ানগঞ্জে ছাত্র অধিকার পরিষদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মামলা করতে এসে বগুড়ায় বেধড়ক মারপিটের শিকার হিরো আলম বণ্যার্তদের সহায়তায় বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌনে দুই লক্ষ টাকা হস্তান্তর বগুড়ায় ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ দ্রুত পরিবর্তন ও স্বাভাবিক হয়ে আসছে শেরপুর সদর থানা

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপক নাগের বিচার দাবীতে ভূক্তভোগী নারী চিকিৎসকের সংবাদ সম্মেলন

চোখের দৃষ্টি নষ্ট করে দেয়া অর্থলিপসু লেজার চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ দীপক কুমার নাগ এর বিচার দাবীতে বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী নারী চিকিৎসক মাহজাবিন হক মাশা।

এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ আমিনুল হক শামীম (সিআইপি)এর একমাত্র কন্যা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি) পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ডাঃ মাহজাবিন হক মাশা বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন ঢাকাস্থ দীন মোহাম্মদ চক্ষু হাসপাতালের অর্থলিপসু রেটিনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীপক কুমার নাগ শতভাগ গ্যারান্টি ও ঝুঁকিমুক্ত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর নিয়মবহির্ভূত ও তার মনগড়া পদ্ধতিতে দু’চোখে একসাথে লেজার অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর ৩৩% দৃষ্টি শক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট করে দিয়েছেন। এই অপচিকিৎসার জন্য ওই চক্ষু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন এবং তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন ভূক্তভোগী রোগী ডাঃ মাশা।

সম্মেলনে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু’র ভাতিজী ডাঃ মাহজাবিন হক মাশা বলেন, ‘চোখের সমস্যা অনুভব করায় গত ১ জুন তিনি রাজধানীর দীন মোহাম্মদ চক্ষু হাসপাতালে দেশের রেটিনা বিশেষজ্ঞ দীপক কুমার নাগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। দীপক কুমার নাগ তার চোখ পরীক্ষা করে দুই চোখেই দ্রুত লেজার অপারেশন করতে বলেন। দীপক কুমার নাগের কথায় অনেকটা ভয় পেয়েই ডা. মাশা লেজারে রাজি হন।

তিনি আরো বলেন, চিকিৎসার শুরুতে দীপক কুমার নাগ প্রথমে তার ডান চোখে ৪৫ মিনিট সময় ধরে লেজার প্রয়োগ করেন। লেজার প্রয়োগের প্রথম ২০ মিনিটেই মেহজাবিন প্রচন্ড যন্ত্রণা অনুভব করলে তিনি তা বন্ধ করতে বলেন। পরে আনুমানিক ১৫ সেকেন্ড বিরতি দিয়ে আবারও লেজার প্রয়োগ করেন। শেষ ২৫ মিনিট অবর্ণনীয় যন্ত্রণা হলে তিনি বাম চোখে লেজার প্রয়োগ করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে ডা.দীপক কুমার নাগ জোর করে বাম চোখেও লেজার প্রয়োগ করেন। লেজার প্রয়োগের পর থেকেই চোখের সমস্যা বাড়তে থাকলে পরবর্তীতে তিনি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চোখের উন্নত চিকিৎসা করান। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, দীপক কুমার নাগের চিকিৎসাটি ভুল ছিল। এ ভুলের কারণে ৩৩ শতাংশ দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় গত আগস্ট মাসে ময়মনসিংহ আদালতে দীপক কুমার নাগের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাহজাবিন হক। ওই মামলা চলমান রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন কালাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিকাশ রায়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মনিরা বেগম অনুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একজন চিকিৎসক রোগীকে অপচিকিৎসা দিয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক ক্ষতির ন্যায়বিচার না হলে আরো বহু লোক আরো ক্ষতি সন্মুখীন হতে পারে। ডা. দীপক কুমার নাগ ভালো চিকিৎসকগণের মর্যাদা ক্ষুণ করেছেন। তার মতো অর্থলিপসু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চিকিৎসক সমাজের সুনাম অক্ষুণ রাখার পথ প্রশস্ত করা হোক এটাই প্রত্যাশা ভূক্তভোগী নারী চিকিৎসক মাশা’র।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. দীপক কুমার নাগ বলেন, তিনি যেভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন এতে চোখের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে তিনি মামলায় জামিনে আছেন বলে জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।