খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি মোংলা বন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর হওয়া সত্বেও মোংলা বন্দরের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি বিএনপি সরকার। এ বন্দরকে মৃত বন্দর ঘোষনা করেছিল তারা। এখান থেকে হাজার হাজার মানুষ খালি হাতে ফিরে গেছে। এই বন্দরের শ্রমিকরা অনাহারে থেকেছে। শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৪ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে শ্রমিক সংঘ চত্বরে মোংলা উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেসিসি মেয়র তালুকদার খালেক আরো বলেন, বিএনপি আমলের এই মৃত বন্দরকে একটি উন্নত আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর মোংলা বন্দরের উন্নয়নে একটা পর একটা প্রকল্প বাস্তবায়নের কারনে এই বন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। পদ্মা সেতুর চালুর পর এ বন্দরের গুরুত্ব কয়েকগুন বেড়ে গেছে। আমদানি- রপ্তানির জন্য এ বন্দরের দিকে ঝুকঁছেন ব্যবসায়ীরা। মোংলা-খুলনা রেল লাইন চালু হলে এখানে পরিবহন খরচ কমবে। চট্রগ্রাম বন্দরের তুলনায় এ বন্দরে গাড়ি আমদানি অনেক বেশি হচ্ছে। সবই বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সুফল।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিকদার ইয়াসির আরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র মেয়র আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সালাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার, আ.লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন, মাহমুদ হাসান ছোট মনি, শেখ কামরুজ্জামান জসিম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন রানা, সাধারন সম্পাদক শাহরুখ বাপ্পী, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান সজিব খাঁন, রাজুল ইসলাম সানি ও কামরুজ্জামান রাসেল প্রমূখ।
কেসিসি মেয়র খালেক মোংলার আ.লীগ নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন। অক্টোবর মাস থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে হবে।দল থেকে যাকে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করতে হবে। দেশের প্রয়োজনে আবারও শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটকে শক্তিশালী করে উদার মানসিকতার মাধমে দলের প্রয়োজনে কাজ করতে হবে। দলের প্রতি সকল নেতাকর্মীদের ভালবাসা সৃষ্টি এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করতে এখন থেকেই মাঠে থাকতে হবে।’