বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়া বাংলাদেশী ফিশিং ট্রলার ‘এফবি জান্নাতুল ফেরদৌস’ ‘এফবি আব্দুল্লাহ-১’ ও এফবি মায়ের দোয়া’র ৩২ জেলেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট ) সন্ধ্যায় এতথ্য জানান কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি,বিএন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) “এফবি জান্নাতুল ফেরদৌস” নামক ফিসিং ট্রলার বাগেরহাট জেলার মোংলা থেকে ১২ জন, এফবি আব্দুল্লাহ-১ গত ১৫ আগস্ট পিরোজপুর জেলার পারেরহাট থেকে ১১ জন এবং এফবি মায়ের দোয়া গত ১৮ আগস্ট পটুয়াখালী থেকে ১৩ জন জেলে মাঝিসহ সমুদ্রে গমন করে। বৈরী আবহাওয়া এবং ইঞ্জিনের ত্রুটি জনিত কারণে ফিশিং ট্রলার “এফভি জান্নাতুল ফেরদৌস, এফভি আব্দুল্লাহ-১ ও এফভি মায়ের দোয়া” ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় চলে যায়।
সমুদ্রে টহলরত অবস্থায় ভারতীয় কোস্টগার্ড বাহিনীর একটি টহল জাহাজ গত শনিবার (২০ আগস্ট) আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭ টায় ভারতীয় জলসীমায় ১০ জন জেলেকে উদ্ধার করে এবং তাদের মাধ্যমে জানতে পারা যায় আরও মাঝি নিখোঁজ রয়েছে। পরবর্তীতে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে টহল জোরদার করে এবং আরও দুইটি ফিশিং ট্রলারের ২২ জন জেলেসহ মোট ৩২ জেলেকে উদ্ধার করে।
ভারতীয় কোস্টগার্ড বাহিনী মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুই দেশের কোস্টগার্ড বাহিনীর মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র নিয়ন্ত্রন রেখায় ৩২ জন জেলেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ‘বিসিজিএস তাজউদ্দিন’ জাহাজের নিকট হস্তান্তর করা হয়। অতঃপর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ ‘বিসিজিএস তাজউদ্দিন’ এর নিকট হতে ‘বিসিজিএস অপরাজেয় বাংলা’ জাহাজে হস্তান্তর করা হলে জেলেদের মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় কোস্টগার্ড বার্থ মোংলায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ৩২ জেলে ও ট্রলার কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মোংলা সদর দপ্তরের মাধ্যমে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।